পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

সেই কবে ১৮৫৭ সালের ৮ ই মার্চ মজুরিবৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমেছিলেন কাতারে কাতারে সুতা কারখানার নারী শ্রমিকেরা। বিশ্ব জুড়ে যার আঁচ ছড়িয়ে পড়েছিল। পরবর্তীতে যুক্ত হয়েছিল মহিলাদের ভোটাধিকারের প্রশ্ন। আমেরিকায় মহিলারা সরব হয়েছিলেন বর্ণবাদের বিরুদ্ধে। উত্তাল হয়েছিল শহর, নগর। আজও কি সেই লড়াই চলছে না, কখনো আনিস খানের হত্যার তদন্তের দাবীতে, কখনো দেউচা পচামীতে? আন্তর্জাতিক শ্রমজীবী নারী দিবসে কি এই লড়াইগুলো আবার সেই প্রশ্নই তুলছে না?

Read more


আন্তর্জাতিক নারী দিবসে দাঁড়িয়ে মনে পরে যায় নির্ভয়া কাণ্ডের পরেও এ দেশে ঘটে যায় কাঠুয়া থেকে হাথরাস। এ দেশেই ধর্ষকদের সমর্থনে জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিল বের করার দুঃসাহস দেখাতে পারে এক বিশেষ চিন্তাধারার মানুষজন। এ দেশেই গুজরাত দাঙ্গার সময় গণধর্ষণের শিকার বিলকিস বানুর অপরাধীদের সাজা মকুব করা হয় অমৃতকালের অজুহাতে, আর সেই ধর্ষকদের মালা পরিয়ে মিষ্টিমুখ করিয়ে সমাজে বরণ করে নেওয়ার লোকেরও অভাব হয় না।

Read more


সরকারি শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষমতায়ন আর চাকরি - এই অধিকারের দাবি তোলার মতন স্বর তৈরি না করতে পারলে, মন্দের ভালো বা লেসার এভিল কে ভোট দেওয়া চলতেই থাকবে। উদার অর্থনীতির হাত ধরে আসা কনজিউমারিজম এখন প্রতিটি মানুষকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে। আর দক্ষিণপন্থী দলগুলোর সাফল্য এখানেই।

Read more


আন্দোলনও আজ বিক্রি হচ্ছে, চোখের সামনে বিক্রি হচ্ছে আন্দোলনের মুখেরা, আরও একঝাঁক এলিট মুখ নিজের দিকে আলো ফেলার আপ্রাণ চেষ্টায় হাঁসফাঁস করতে করতে, ইঁদুর দৌড়ে জয়ী হতে না পেরে বিপর্যস্ত। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে লিঙ্গ সাম্যের প্রশ্ন নিয়ে নতুন করে ভেবে দেখা বোধহয় সত্যিই খুব জরুরি। বাংলার সর্বোচ্চ কর্পোরেট মিডিয়া আজ শিলমোহর দিচ্ছে আন্দোলনকে, আলোর সেই মুখকে সেরার সেরা ঘোষণা করে। দুর্ভাগ্যের বিষয় আন্দোলনের মূল আশু লক্ষ তিলোত্তমার ন্যায়বিচার এবং দীর্ঘস্থায়ী লিঙ্গ সাম্যের প্রশ্ন যেন এই ইঁদুর দৌড়ের মাঝে পড়ে ক্রমশ আরো বিলীন হওয়ার দিকে।

Read more